প্রকাশিত: Fri, Mar 3, 2023 4:13 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 9:35 AM

পাইকারি বাজারে চিনির দাম কমলেও খোলাবাজারে সরবরাহ সংকটে চড়ামূল্য

অনুজ দেব: শুক্রবার এবং এর আগের কয়েকদিন খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হয়েছে ৩,৮৯০-৩,৯০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এ বাজারের বিভিন্ন আড়তে চিনি বিক্রি হয়েছে ৩,৯৫০ টাকায়। 

গত বছরের শেষের দিকে চিনির দাম প্রতি মণ ৪০০০ থেকে ৪২০০-৪৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল যা গত কয়েক মাসে কিছুটা কমে এসেছে। তবে খুচরা বাজারে দাম এখনো কমেনি, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। 

দাম কমানোর উদ্যোগ হিসেবে চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা। এ বিষয়ে বাজার তদারকির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত কয়েক মাসে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলছিল চিনির দাম। আসন্ন রমজানে এ মূল্য আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চিনির বাজারের উত্তাপ কমাতে গত ২৯ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার চিনি আমদানিতে শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে। এতে বলা হয়, হ্রাসকৃত শুল্কের এই সুবিধা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এছাড়া প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে তিন হাজার টাকা ও পরিশোধিত চিনি আমদানিতে ছয় হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঢাকার চারটি সুগার মিলের মধ্যে ফ্রেশ তাদের সরবরাহ অব্যাহত রাখলেও অপর তিনটি মিল- সিটি, ইগলু ও দেশবন্ধু চিনি সরবরাহ সঠিকভাবে করতে পারছে না। চট্টগ্রামের এস আলম সুগার মিলের সরবরাহ ভালো থাকলেও সেখান থেকে সরবরাহ পেতে  ৫-৬ দিন সময় লাগছে। আর ঢাকার সুগার মিলগুলো থেকে সরবরাহ পেতে সময় লাগছে প্রায় ১৫-২০ দিন। ফলে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। 

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ও সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিনে প্রতি মণ চিনির দাম ৫০-৬০ টাকার মত কমেছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না সুগার মিলগুলো।

 ফলে সংকট তৈরি হচ্ছে। সুগার মিলগুলো চিনি সরবরাহ স্বাভাবিক না রাখলে বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠতে পারে। সঠিক সরবরাহ নিশ্চিতে সরকারি তদারকি থাকলে দাম আরও কমে আসবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব